স্টাফ রিপোর্টারঃ নিজের নাম-পরিচয় বদলেও বাঁচতে পারলেন না চান্দু মিয়া। রংপুরের কাউনিয়ায় ২০১৫ সালে মাজারের খাদেম রহমত আলীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছিলেন আবদুর রহমান ওরফে চান্দু মিয়া। ঘটনার পর তিনি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। সেই সঙ্গে বদলে ফেলেন নিজের নাম-পরিচয়। এভাবে রিকশা চালানোসহ বিভিন্ন ধরনের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন তিনি। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। গতকাল সোমবার সাভারের গেন্ডা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের এন্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)।
মঙ্গলবার (২৫ মে) দুপুরে এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার (এসপি মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস) মোহাম্মদ আসলাম খান এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আবদুর রহমানের বাড়ি রংপুর। তার শ্বশুরবাড়ি কুমিল্লায়। কুমিল্লাসহ ঢাকার আশপাশে বিভিন্ন নামে ছিলেন তিনি। রিকশা চালানোসহ অন্যান্য ছোটখাটো কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তিনি নিজে খাদেম রহমত আলীকে কুপিয়েছেন। ঘটনার সময় ১৮-১৯ বছর বয়সী ছিলেন আবদুর রহমান। একটা মসজিদে ইমামতি করতেন তিনি।
আসলাম খান বলেন, আবদুর রহমান জামাতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সক্রিয় সদস্য বলে স্বীকার করেছেন। এ হত্যাকাণ্ডে অর্থদাতা ছিলেন কয়েকজন স্থানীয়।
হত্যাকাণ্ডের কারণ হিসেবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে এটিইউ জানায়, খাদেম রহমত আলী ‘সুরেশ্বরী’ তরিকা পালন করতেন। বাড়ির পাশে তার বাবা-মার কবর মাজার ঘোষণা করেন তিনি। তিনি মাজার ও মসজিদ সংলগ্ন একটি দরবার শরিফ গড়ে প্রতি বৃহস্পতিবার সুরেশ্বরী তরিকা মোতাবেক অনুসারীদের নিয়ে জিকির করতেন। রহমত আলীর এসব কর্মকাণ্ড জেএমবি সদস্যদের নজরে আসে। তাদের দাবি অনুযায়ী রহমত আলী একজন ভণ্ড পীর, শিরককারী এবং দ্বীন ইসলাম প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে তাকে হত্যা করা আবশ্যক। তাই তাকে হত্যা করেন তারা।